বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় । প্রিয় কথা সাহিত্যিক । জন্ম ও বংশ পরিচয়- শিক্ষা- গ্রন্থসমূহ । Bibhutibhushan Bandyopadhyay - Biography
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় । প্রিয় কথা সাহিত্যিক । জন্ম ও বংশ পরিচয়- শিক্ষা- গ্রন্থসমূহ । Bibhutibhushan Bandyopadhyay - Biography, Books
বাংলা
সাহিত্যের
বন্দ্যোপাধ্যায়
ত্রয়ী
হলেন
বিভূতিভূষণ,
তারাশঙ্কর
এবং
মানিক
বন্দ্যোপাধ্যায়
।ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্তিম দশকে জন্মেছিলেন বিভূতিভূষণ এবং তারাশঙ্কর মানিক আরো কিছুটা পরে বিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে।
বাংলা
সাহিত্যের
তিন
বন্দ্যোপাধ্যায়
এর
মধ্যে
বিভূতিভূষণ
জন্মেছিলেন
১২
ই
সেপ্টেম্বর
১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে। বাংলা কথাসাহিত্য ধারায় বিভূতিভূষণ তাঁর কালজয়ী, হৃদয়স্পর্শী রচনার মধ্য দিয়ে আজও সমানভাবে জনপ্রিয়।
শুধু
বাংলা
সাহিত্যই
নয়
বরং
ভারতীয়
সাহিত্য
-সিনেমায় আন্তর্জাতিক খ্যাতি ঘটেছিল সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে অবশ্যই বিভূতিভূষণের ‘পথের পাঁচালী’কে অবলম্বন করে।
অপু
দুর্গার
স্নেহ-ভালোবাসা,
দারিদ্র
–যন্ত্রণা,
জীবনবোধের ভাবনা,
হার
না
মানা
মানসিকতা
-আপামর
বাঙালি
মাত্রেই
জানে। আর ‘শংকর’-
সে মাছে -ভাতে নমনীয় বাঙালির ভাবনায় চাবুক মারা একজন যুবক।
‘চাঁদের পাহাড়’(১৯৩৭) মূলত কিশোর উপন্যাস।
বর্তমানে
উপন্যাসটি
চলচ্চিত্রায়িত
বা
সিনেমাইয়িত হওয়ায়
যুব সমাজ শঙ্করকে
আরো
নিবীড়ভাবে
চিনতে
পেরেছে
-জানতে পেরেছে।
বিভূতিভূষণ
কোনদিন
আফ্রিকায়
যাননি। তাঁর কল্পনা,
তাঁর
সুদূর
পিয়াসী
মনের
পরতে
পরতে
ভ্রমণপিপাসু, জিজ্ঞাসু চিরকালীন বাঙালিয়ানার একশো শতাংশ পরিচয় মেলে।
‘আরণ্যক’- সমাজের অন্ত্যজ শ্রেণীর মানুষের জীবন কাহিনী। প্রাণের প্রথম বিকাশ অরণ্যে- সভ্যতা বিকাশের প্রথম ধাপে অরণ্যবাসী মানুষ- তারপর বহু বিবর্তনের ধারা পেরিয়ে বর্তমান যন্ত্রসভ্যতার পায়রার কুটু্রিওয়ালা বহুতল বাসাবাড়ি। ‘আরণ্যক’ পড়া মাত্রই আমরা এসব যন্ত্রসভ্যতার উচ্চ কলরবের বাইরে কোথাও যেন হারিয়ে যাই। বারবার মনে পড়ে দোবরু পান্নার কথা। জঙ্গলে ঘেরা প্রাচীন সভ্যতা, তাদের ঐতিহ্য, যুদ্ধজয়,বুনো সবুজ লতার মতো সারল্য কোথাও যেন আমাদের টেনে নিয়ে যায়। বিভূতিভূষণ ঘাটশিলায় (বর্তমান ঝাড়খণ্ডে) সুবর্ণরেখা নদী লাগোয়া অঞ্চলে বহু দিন কাটিয়েছেন, এমনকি তাঁর মৃত্যুও হয়েছে ঘাটশিলাতে। অন্ত্যজ শ্রেণীর মানুষের জীবন ও ইতিহাস তুলে ধরেছেন ‘আরণ্যক’ উপন্যাসে।
‘আরণ্যক’- সমাজের অন্ত্যজ শ্রেণীর মানুষের জীবন কাহিনী। প্রাণের প্রথম বিকাশ অরণ্যে- সভ্যতা বিকাশের প্রথম ধাপে অরণ্যবাসী মানুষ- তারপর বহু বিবর্তনের ধারা পেরিয়ে বর্তমান যন্ত্রসভ্যতার পায়রার কুটু্রিওয়ালা বহুতল বাসাবাড়ি। ‘আরণ্যক’ পড়া মাত্রই আমরা এসব যন্ত্রসভ্যতার উচ্চ কলরবের বাইরে কোথাও যেন হারিয়ে যাই। বারবার মনে পড়ে দোবরু পান্নার কথা। জঙ্গলে ঘেরা প্রাচীন সভ্যতা, তাদের ঐতিহ্য, যুদ্ধজয়,বুনো সবুজ লতার মতো সারল্য কোথাও যেন আমাদের টেনে নিয়ে যায়। বিভূতিভূষণ ঘাটশিলায় (বর্তমান ঝাড়খণ্ডে) সুবর্ণরেখা নদী লাগোয়া অঞ্চলে বহু দিন কাটিয়েছেন, এমনকি তাঁর মৃত্যুও হয়েছে ঘাটশিলাতে। অন্ত্যজ শ্রেণীর মানুষের জীবন ও ইতিহাস তুলে ধরেছেন ‘আরণ্যক’ উপন্যাসে।
জন্ম
ও
বংশ
পরিচয়- জন্ম ১২ ই সেপ্টেম্বর ১৮৯৪
জন্মস্থান- পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মুরাতিপুর গ্রামে,
মাতুলালয়ে
জন্মগ্রহণ
করেন।
পৈতৃক
নিবাস
উত্তর
২৪
পরগনা
জেলার
বনগাঁর
নিকট
বারাকপুর
গ্রামে।
পিতা-
মহানন্দ
বন্দ্যোপাধ্যায়
(সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত)
মাতা-
মৃণালিনী
দেবী। পিতা মাতার মোট পাঁচজন সন্তান এদের মধ্যে সবার বড় বিভূতিভূষণ।
শিক্ষাজীবন- প্রথমে পিতার কাছে –
তাপর গ্রামের পাঠশালায়-
তারপর
বনগ্রাম
উচ্ছ
ইংরেজি
বিদ্যালয়। এইভাবে ১৯১৪ সালে প্রথম বিভাগে এন্ট্রান্স এরপর ১৯১৬ সালে কলকাতার রিপন কলেজ (বর্তমানে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ)
থেকে
আইএ
পরীক্ষায়
উত্তীর্ণ
হন। ১৯১৮ সালে ডিস্টিংশনসহ বিএ পাস করেন।
গ্রন্থসমূহ-
উপন্যাস- প্রকাশকাল অনুযায়ী পর্যায়ক্রমিক
বিন্যাস
পথের পাঁচালী (১৯২৯), অপরাজিতা (প্রথম ও দ্বিতীয় খন্ড ১৯৩২), দৃষ্টিপ্রদীপ (১৯৩৫), আরণ্যক (১৯৩৯) আদর্শ হিন্দু হোটেল (১৯৪০), বিপিনের সংসার (১৯৪১), দুইবাড়ি অনুবর্তন (১৯৪২), দেবযান (১৯৪৪), কেদার রাজা (১৯৪৫), অথৈজল (১৯৪৭), ইছামতি (১৯৫০), অশনিসংকেত (বঙ্গাব্দ ১৩৬৬), দম্পতি (১৯৫২)
গল্পগ্রন্থ -প্রকাশকাল অনুযায়ী পর্যায়ক্রমিক বিন্যাস
মেঘমল্লার (১৯৩১), মৌরিফুল (১৯৩২), যাত্রাবাদল (১৯৩৪), জন্ম ও মৃত্যু (১৯৩৭), কিন্নরদল (১৯৩৮), তালনবমী (১৯৪৪), বিধু মাস্টার (১৯৪৫), ক্ষণ ভঙ্গুর (১৯৪৫), অসাধারণ (১৯৪৬)
কিশোর পাঠ্য গ্রন্থসমূহ- প্রকাশকাল অনুযায়ী পর্যায়ক্রমিক বিন্যাস
চাঁদের পাহাড় (১৯৩৭), মরণের ডঙ্কা বাজে (১৯৪০), মিসমিদের কবচ (১৯৪২), হীরা মানিক জ্বলে (১৯৪৬), সুন্দরবনের সাত বৎসর (সহযোগী ভুবনমোহন রায়- ১৯৫২)
ভ্রমণ কাহিনী ও দিনলিপি সমূহ –
অভিযাত্রিক
(১৯৪০),
স্মৃতির
রেখা
(১৯৪১০,
ঊর্মিমুখর
(১৯৪৪),
বনে
পাহাড়ে
(১৯৪৫), উৎকর্ণ (১৯৪৬), হে অরণ্য কথা কও (১৯৪৮)
পথের পাঁচালী (১৯২৯), অপরাজিতা (প্রথম ও দ্বিতীয় খন্ড ১৯৩২), দৃষ্টিপ্রদীপ (১৯৩৫), আরণ্যক (১৯৩৯) আদর্শ হিন্দু হোটেল (১৯৪০), বিপিনের সংসার (১৯৪১), দুইবাড়ি অনুবর্তন (১৯৪২), দেবযান (১৯৪৪), কেদার রাজা (১৯৪৫), অথৈজল (১৯৪৭), ইছামতি (১৯৫০), অশনিসংকেত (বঙ্গাব্দ ১৩৬৬), দম্পতি (১৯৫২)
গল্পগ্রন্থ -প্রকাশকাল অনুযায়ী পর্যায়ক্রমিক বিন্যাস
মেঘমল্লার (১৯৩১), মৌরিফুল (১৯৩২), যাত্রাবাদল (১৯৩৪), জন্ম ও মৃত্যু (১৯৩৭), কিন্নরদল (১৯৩৮), তালনবমী (১৯৪৪), বিধু মাস্টার (১৯৪৫), ক্ষণ ভঙ্গুর (১৯৪৫), অসাধারণ (১৯৪৬)
কিশোর পাঠ্য গ্রন্থসমূহ- প্রকাশকাল অনুযায়ী পর্যায়ক্রমিক বিন্যাস
চাঁদের পাহাড় (১৯৩৭), মরণের ডঙ্কা বাজে (১৯৪০), মিসমিদের কবচ (১৯৪২), হীরা মানিক জ্বলে (১৯৪৬), সুন্দরবনের সাত বৎসর (সহযোগী ভুবনমোহন রায়- ১৯৫২)
ভ্রমণ কাহিনী ও দিনলিপি সমূহ –
পুরস্কার- ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে
মরণোত্তর
রবীন্দ্র
পুরস্কার
লাভ
করেন
‘ইছামতী’
উপন্যাসের
জন্য।
মৃত্যু- ১লা নভেম্বর ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে ইহলোক ত্যাগ করেন।
৫৬
বছর
বয়সে
ঘাটশিলায়
(বর্তমান ঝাড়খণ্ডের অন্তর্গত)
হৃদরোগে
আক্রান্ত
হয়ে
পরলোকগমন
করেন।
No comments